ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মহান একুশের চেতনায় বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইশরা ভাষা ভাবনা!

ekusheyএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহান একুশের চেতনায় ইশরা ভাষা বিষয়ে সাতকাহন রচনা করেছে বেসরকারী এনজিও সংস্থা সার্ভ। নতুন বছরের শুরুতে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধিতার শিকার মো: সাজ্জাদ হোসেনের হাতে বই তুলে দিয়ে প্রতিবন্ধিতার শিক্ষার ওই শিক্ষার্থীকে মানুষ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন এনজিওটির নীতিনির্ধারকরা।

জানতে চাইলে এনজিও সংস্থার সার্ভের মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা রাজেশ খান্না বলেন, আমরা বাঙ্গালী হিসাবে ২১ শে ফেব্রুয়ারী নিয়ে অহংকার করতে পারি! ১৯৫২ সালে রক্তে রঞ্জিত ভাষা আন্দোণনের ফসল আজ আর্ন্তজাতিক মাতুভাষা দিবসের স্বীকৃতি। সারা বিশ্ব পালন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিবসটি। আর সকল মাতৃভাষার গুরুত্ব ও স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এই দিবসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সার্ভে কাজ করতে গিয়ে আমি প্রতিবন্ধী শিশু বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদরে অধিকার নিয়ে কিছু করার চেষ্ঠা করছি। ভাবনা আসে যখন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থা এসএআরপিভির একজন পিআরডিপিডি প্রকল্পের কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্কুলে ভর্তি নিয়ে কথা হয়। এখনও যখন দেখি যে সেই শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানো হচ্ছে না, তখন আমার ভাবনাটা শেয়ার করি অন্যদের সাথে।

তিনি বলেন, তেমনি একটি ঘটনা ঘটে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে যখন বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধিতার কারণে যখন একজন সাজ্জাদ হোসেনকে কোন বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হচ্ছিল না। তখন কোনমতে অন্য একটি বিদ্যালয়ে অনেক কষ্টে তাকে ভর্তি করাতে হল। তখন ভাবলাম যে ভাষার জন্য আমাদের বীর শহীদরা রক্তদিল সেই ভাষা হয়ত সে বলতে পারছে না, কিন্ত সেই ভাষা বলতে না পারায় সে কি পড়ার অধিকার থেকে বাদ যাবে। যদি সেই বিদ্যালয়ের মতো অন্য বিদ্যালয় সমূহের এ অবস্থা হয় তাহলে ১৮% বাকও শ্রবন প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বাদ বা ঝড়ে পরে তাহলে ২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বা ৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাক্রা অর্জিত হবে কি করে।

এনজিও কর্মকর্তা রাজেশ খান্না বলেন, দেশে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ইশরা ভাষা পরিবেশন হলেও এখনও ইশারা ভাষার কোন পাঠ্য বই আছে বলে প্রতিয়মান হয় না। যদিও কিছু কিছু বর্ণমালা ইংরাজী ভাষায় আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্ভের মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পিআরডিপিডি প্রকল্পের মাধ্যমে বিতরণ করেছি। তিনি বলেন, আমরা কথা বলার সময় যার যার ভাষায় অনেকে ইশারা ভাষার সাইন ব্যবহার করি বা বুঝতে পারি, কিন্তু প্রতিবন্ধি (বাক ও শ্রবন) শিশুরা ভাষা দৈন্যদশার কারনে এখনও বিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তবে এ ক্ষেতে সকলকে নীতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। যাতে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীরা লেড়াপড়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। #

পাঠকের মতামত: